তনু কে নিয়ে ...
এটাই কি ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপ?
আল্লাহ্ তোমাদেরকে মাফ করবে না।
তনু কে ধর্ষণের পর হত্যা করে tutt,
আমাদের tutt এত নর পিশাচ তা আমাদের জানা ছিল না।
প্রতিদিনই ঘটছে অনেক নির্মম ঘটনা আমরা এর প্রতিকার কোথায় পাবো জানি না
অত্যাচারীর ধ্বংস আছে, হবেই হবে।
নির্মম এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
তনু ‘র ঘটনাটি নিয়ে যতবার ভাবছি, যতবার কলম ধরছি হাত কাঁপছে। হোক নাহোক আমরা সবাই কমবেশী এই ধর্ষণের ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী। আমাদের কথা বলা, শেয়ারিং,চিন্তাভাবনার প্রকাশ একটা সুবিধাজনক দূরত্ব রেখে হয়। বিপদ আপদের জোয়ার যাতে আমাদের গায়ে না লাগে সেই পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখি আমরা। আমি সুস্থ আছি, আমি বেঁচে আছি এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। অন্যেরা চুলোয় যাক। অন্যের কি হলো না হলো সেটা দেখার দ্বায়িত্ব আমার না। আর সবচেয়ে বড় যে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা,সেটা হচ্ছে একটা অন্যায় সঙ্ঘটিত হলে আমরা নিজেরাতো প্রতিবাদ করিই না, যখন অন্য কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখি, তখন তাকে উৎসাহ দেবার পরিবর্তে অতি বিজ্ঞজনের মত বলি -এসব প্রতিবাদ করে কি লাভ?? কোনকিছুর কি পরিবর্তন হবে? এভাবেই একজন একজন করে ১৬ কোটি মানুষ একসময় হাত তুলে ফেলবে। কিন্তু অন্যায়কারীরা কি থেমে থাকবে?? আমরা ডিসকভারি চ্যানেল অথবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে দেখি দু তিনটা হায়েনা শত শত মহিষের পাল থেকে একটা বাছুরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আর অন্য মহিষগুলো নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। অথচ প্রতিটি মহিষ যদি শিং দিয়ে একটি করে গুঁতো দেয় তাহলে এই গুটিকয়েক হায়েনার অস্তিত্ব থাকবে? থাকবেনা। আমরা এই মহিষের পালের চাইতেও অধম।মহিষেরা শুধু নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালায়, আর আমরাতো পালাই, সাথে অন্য কেউ যদি ঘুরে দাঁড়াতে চায় তাকেও নিরুৎসাহিত করি।একটিবার আমরাকি ভেবেছি,৭১ এ মানুষগুলোর যদি আমাদের মতো মানষিকতা হতো আমরা অদৌ কি স্বাধীন হতে পারতাম??? চোখ খুলেই রেডিমেড স্বাধীন একটা দেশ আমরা পেয়ে গেছি তাই স্বাধীনতার মর্ম আমরা বুঝিনা।রাত পোহালেই স্বাধীনতার ৪৫ বছর পুর্তি।আমরাকি পেরেছি লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ঋণ পরিশোধ করতে?? কাল হয়তো সভা সেমিনার করবো, স্মৃতিসৌধে গিয়ে ফুল দিয়ে ২ মিনিট নিরবতা পালন করবো। ফেইসবুকে একটি সেলফী আপলোড করবো,প্রোফাইল পিক ‘এ লাল সবুজের পতাকা শোভা পাবে, স্ট্যাটাসে লিখবো “ফিলিং স্বাধীন “!!এখানেই আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ।এর এজন্যেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আত্নাহুতি দিয়েছিল? দেশের মানুষের অভাব কি আজও ঘুচেছে? বৈষম্য দূর হয়েছে? যে পাকিস্তানি হানাদারদের আমরা ধর্ষক বলে উঠতে বসতে গালি দেই সে ধর্ষক আজ আমরা নিজেরাই তৈরী করছি। গ্লোবালাইজেশনের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি রাতদিন গিলছি, অথচ নিজের সংস্কৃতির কানাকড়িও বিশ্বের সামনে তুলে ধরছিনা। একটা সময় মা বাবারা বাচ্চাদের মানষিকতায় বিরুপ প্রভাব পরবে বলে তাদের সামনে অশালীন কোন অনুষ্ঠান দেখতো না। আর এখন ছেলে শিশুটির সামনে সানি লিওনের “বেবী ডল “গান চালিয়ে দেয় আর বাচ্চাটি হেলে দুলে নাচে, আর মা দেখে পাশের বাড়ির ভাবীর সাথে গসিপ করে, বলে দেখেছেন কি সুন্দর করে নাচে, এত্তটুকুন বাচ্চা পুরো নাচ শিখে ফেলেছে!!! একটিবার ভেবেছেনকি, এই কোমলমতি শিশুর মস্তিষ্কে কি হিডেন ম্যাসেজ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন? এই ম্যাসেজটি কিন্তু তার subconscious mind এ জমা হয়ে থাকবে। নারীদের প্রতি শ্রদ্ধার বোধ জাগার বয়সের আগেই তার মস্তিষ্কে অর্ধনগ্ন একটা নারীর ছবি গেঁথে দিচ্ছেন।শিশুদেরকে শিশুর মতোই বেড়ে উঠতে দিন। এখনই আমাদের সমাজের অবস্থা দুর্বিষহ, ভবিষ্যতে আমরা কি প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি?? শিশুদের শৈশব থেকেই নৈতিকতা শিক্ষা দিন। শুধু বড় হয়ে টাকা কামানোর জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর চাইতে একজন সৎ,পরোপকারী,ত্যাগী, দেশপ্রেমী আদর্শ চরিত্রবান মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রতি জোর দিন।আরেকটা দেশপ্রেমিক জন্মাতে দিন।শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
আল্লাহ্ তোমাদেরকে মাফ করবে না।
তনু কে ধর্ষণের পর হত্যা করে tutt,
আমাদের tutt এত নর পিশাচ তা আমাদের জানা ছিল না।
প্রতিদিনই ঘটছে অনেক নির্মম ঘটনা আমরা এর প্রতিকার কোথায় পাবো জানি না
অত্যাচারীর ধ্বংস আছে, হবেই হবে।
নির্মম এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
তনু ‘র ঘটনাটি নিয়ে যতবার ভাবছি, যতবার কলম ধরছি হাত কাঁপছে। হোক নাহোক আমরা সবাই কমবেশী এই ধর্ষণের ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী। আমাদের কথা বলা, শেয়ারিং,চিন্তাভাবনার প্রকাশ একটা সুবিধাজনক দূরত্ব রেখে হয়। বিপদ আপদের জোয়ার যাতে আমাদের গায়ে না লাগে সেই পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখি আমরা। আমি সুস্থ আছি, আমি বেঁচে আছি এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। অন্যেরা চুলোয় যাক। অন্যের কি হলো না হলো সেটা দেখার দ্বায়িত্ব আমার না। আর সবচেয়ে বড় যে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা,সেটা হচ্ছে একটা অন্যায় সঙ্ঘটিত হলে আমরা নিজেরাতো প্রতিবাদ করিই না, যখন অন্য কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখি, তখন তাকে উৎসাহ দেবার পরিবর্তে অতি বিজ্ঞজনের মত বলি -এসব প্রতিবাদ করে কি লাভ?? কোনকিছুর কি পরিবর্তন হবে? এভাবেই একজন একজন করে ১৬ কোটি মানুষ একসময় হাত তুলে ফেলবে। কিন্তু অন্যায়কারীরা কি থেমে থাকবে?? আমরা ডিসকভারি চ্যানেল অথবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে দেখি দু তিনটা হায়েনা শত শত মহিষের পাল থেকে একটা বাছুরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আর অন্য মহিষগুলো নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। অথচ প্রতিটি মহিষ যদি শিং দিয়ে একটি করে গুঁতো দেয় তাহলে এই গুটিকয়েক হায়েনার অস্তিত্ব থাকবে? থাকবেনা। আমরা এই মহিষের পালের চাইতেও অধম।মহিষেরা শুধু নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালায়, আর আমরাতো পালাই, সাথে অন্য কেউ যদি ঘুরে দাঁড়াতে চায় তাকেও নিরুৎসাহিত করি।একটিবার আমরাকি ভেবেছি,৭১ এ মানুষগুলোর যদি আমাদের মতো মানষিকতা হতো আমরা অদৌ কি স্বাধীন হতে পারতাম??? চোখ খুলেই রেডিমেড স্বাধীন একটা দেশ আমরা পেয়ে গেছি তাই স্বাধীনতার মর্ম আমরা বুঝিনা।রাত পোহালেই স্বাধীনতার ৪৫ বছর পুর্তি।আমরাকি পেরেছি লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ঋণ পরিশোধ করতে?? কাল হয়তো সভা সেমিনার করবো, স্মৃতিসৌধে গিয়ে ফুল দিয়ে ২ মিনিট নিরবতা পালন করবো। ফেইসবুকে একটি সেলফী আপলোড করবো,প্রোফাইল পিক ‘এ লাল সবুজের পতাকা শোভা পাবে, স্ট্যাটাসে লিখবো “ফিলিং স্বাধীন “!!এখানেই আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ।এর এজন্যেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আত্নাহুতি দিয়েছিল? দেশের মানুষের অভাব কি আজও ঘুচেছে? বৈষম্য দূর হয়েছে? যে পাকিস্তানি হানাদারদের আমরা ধর্ষক বলে উঠতে বসতে গালি দেই সে ধর্ষক আজ আমরা নিজেরাই তৈরী করছি। গ্লোবালাইজেশনের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি রাতদিন গিলছি, অথচ নিজের সংস্কৃতির কানাকড়িও বিশ্বের সামনে তুলে ধরছিনা। একটা সময় মা বাবারা বাচ্চাদের মানষিকতায় বিরুপ প্রভাব পরবে বলে তাদের সামনে অশালীন কোন অনুষ্ঠান দেখতো না। আর এখন ছেলে শিশুটির সামনে সানি লিওনের “বেবী ডল “গান চালিয়ে দেয় আর বাচ্চাটি হেলে দুলে নাচে, আর মা দেখে পাশের বাড়ির ভাবীর সাথে গসিপ করে, বলে দেখেছেন কি সুন্দর করে নাচে, এত্তটুকুন বাচ্চা পুরো নাচ শিখে ফেলেছে!!! একটিবার ভেবেছেনকি, এই কোমলমতি শিশুর মস্তিষ্কে কি হিডেন ম্যাসেজ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন? এই ম্যাসেজটি কিন্তু তার subconscious mind এ জমা হয়ে থাকবে। নারীদের প্রতি শ্রদ্ধার বোধ জাগার বয়সের আগেই তার মস্তিষ্কে অর্ধনগ্ন একটা নারীর ছবি গেঁথে দিচ্ছেন।শিশুদেরকে শিশুর মতোই বেড়ে উঠতে দিন। এখনই আমাদের সমাজের অবস্থা দুর্বিষহ, ভবিষ্যতে আমরা কি প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি?? শিশুদের শৈশব থেকেই নৈতিকতা শিক্ষা দিন। শুধু বড় হয়ে টাকা কামানোর জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর চাইতে একজন সৎ,পরোপকারী,ত্যাগী, দেশপ্রেমী আদর্শ চরিত্রবান মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রতি জোর দিন।আরেকটা দেশপ্রেমিক জন্মাতে দিন।শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
Comments
Post a Comment